পঞ্চম দিনে কোটাবিরোধী আন্দোলন

৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে ফের রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) পঞ্চম দিনের মতো রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। চারটি দাবিতে গত ২ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন।

কোটাবিরোধী আন্দোলন  

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু করে শাহবাগ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায় কোটাবিরোধী মিছিল। আন্দোলনকারীরা শাহবাগে রাস্তা আটকে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দাবি পূরণ না হলে তারা আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

কোটাবিরোধী আন্দোলন

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ওই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাত জন ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না— সে বিষয়ে জানতে চান।

কোটাবিরোধী আন্দোলন

গত ৫ জুন (২০২৪) সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় বহাল থাকবে বলে আদেশ দেন।

কোটাবিরোধী আন্দোলন

৯ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আদেশ দেন, সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল থাকবে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল (নিয়মিত আপিল) করতে বলেন আদালত। পাশাপাশি মামলার শুনানি মুলতবি রাখা হয়।

কোটাবিরোধী আন্দোলন

এদিকে আপিল বিভাগের আদেশের আগেই গত ২ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা; পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত); সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কোটাবিরোধী আন্দোলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ঢাকার সব কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।

কোটাবিরোধী আন্দোলন

কোটাবিরোধী আন্দোলন

কোটাবিরোধী আন্দোলন

কোটাবিরোধী আন্দোলন

আরও পড়ুন- 

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় আপাতত বহাল

কোটা পুনর্বহাল: বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

কোটা চায়, নাকি চায় না

কোটা ও পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন

‘কোটা-শিক্ষকদের আন্দোলনে ভর করবে বিএনপি’

কোটা বাতিলের দাবিতে আবারও শাহবাগ অবরোধ

‘সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল সংবিধানবিরোধী’

কোটা বাতিলের দাবিতে রাজপথে শিক্ষার্থীরা

কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

কোটা বাতিলের দাবিতে মাঠে শিক্ষার্থীরা, বহাল চায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট

‘কোটা বাতিলের জন্য প্রয়োজনে আবার রক্ত দেবো’