‘স্ত্রীকে দেখে রেখো’ চিরকুট রেখে বাড়ি ছাড়লো যুবক, অফিসে মিললো মরদেহ

রাজধানীর হাতিরপুলে নাহার প্লাজা ভবনের একটি অফিস কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সেজানুর রহমান আনাস (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকাল ৫টার দিকে নাহার প্লাজার ঢাকা লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামের অফিসের একটি কক্ষ থেকে আনাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি সেখানে সেলস এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মোনায়েম বলেন, শুক্রবার বিকালে খবর পেয়ে নাহার প্লাজার নবম তলায় অফিস কক্ষ থেকে ফ্যানের হুকের সঙ্গে স্টিলের তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই মোনায়েম বলেন, গত মঙ্গলবার বাবা-মায়ের সঙ্গে পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া করে বাসায় একটি চিরকুট লিখে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয় আনাস। তারপর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, আনাস গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়াও অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।

প্রতিষ্ঠানের মালিক পারভেজ বাবু বলেন, ছয় মাস আগে একটি মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন আনাস। তার স্ত্রীকে এখনও উঠিয়ে আনেননি। তাদের দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই দুই বছর পরে উঠিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়েই আনাসের বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে মঙ্গলবারে বাসায় একটি চিরকুট রেখে বেরিয়ে যায়।

ওই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘মা, আমার স্ত্রীকে দেখে রাখিও’।

নিহত আনাস শরীয়তপুর জেলার ঘোসাইরহাট উপজেলার মো. জালাল মুন্সির ছেলে। বর্তমানে তারা যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল দরবার শরীফ রোডের নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতো। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।