‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে’

দুর্নীতিবিরোধী আইন দৃশ্যমান, দ্রুত ও শক্তভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান। এ সময় তিনি গণচীনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এম এ মান্নান এসব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

এম এ মান্নান বলেন, সরকারি ব্যয়ের মিতব্যয়িতা দেখাবার, অনুশীলন করার খুবই প্রয়োজন আছে। আমাদের আমলাতন্ত্র বিশাল আমলাতন্ত্র, এই আমলাতন্ত্রে পরতে পরতে নানা ব্যয় আছে। অনেকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ, আমিও ওখানে ছিলাম। আমি যদি নিজেকে প্রশ্ন করি— তাহলে গাড়ি, বসার জায়গা, বসবাস, বিদেশ ভ্রমণ, সভা সমিতি, সম্মানি এসব ক্ষেত্রে আমি সরকরের প্রতি আহ্বান জানাবো— মিতব্যয়িতার দিকটাকে দৃশ্যমানভাবে অনুশীলন করার জন্য। জৌলুস, অপচয় আরেকটা দিক। কোনও উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে জবাবদিহি চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত, সেখানে আমাদের দেশে এটা দেখা যায় না।

বেনজীর ও মতিউর রহমানের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক এই আমলা বলেন, আমাদের সরকারের বিশেষ করে আমাদের আমলাতন্ত্রেও দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। সম্প্রতি কয়েকটি উদাহরণ অত্যন্ত পীড়াদায়ক আমাদের জন্য। আমি নিজেও আমলাতন্ত্রে ছিলাম, আমার অপরাধবোধ আছে। এসব ব্যক্তি যেসব আর্থিক ক্ষতি করেছে, সেটা হয় তো আমরা পুষিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু নৈতিকভাবে তারা যে ক্ষতি করেছেন, আমাদের দেশের, আমাদের আমলাতন্ত্রের প্রতি, তারা সরকারের কেন্দ্রে অবস্থান করে যেসব কাজ করেছেন, এগুলো যেকোনও সংবেদনশীল সমাজের জন্য অত্যন্ত চিন্তার এবং শঙ্কার বিষয়। এদিকে আমলাতন্ত্রের সব বিভাগেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবো।

তিনি বলেন, আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলবো, নতুন ডাক্তার গ্রামে যেতে চান না, এটা বহু পুরনো ইস্যু।  যখন নতুন বিসিএস দিয়ে তারা যোগদান করবে, অন্তত দুই বছর যাতে বাধ্যতামূলক গ্রামে চাকরি করেন— এই বিধান করা প্রয়োজন। না হলে বিসিএস দিয়ে তাদের চাকরি দেওয়া হবে না। দুর্নীতি ইতোমধ্যে সারা দেশে আলোচিত হয়েছে। দুর্নীতির ব্যাপারে আমি বলবো— আইন আছে, বাস্তবায়ন করতে হবে দৃশ্যমানভাবে, দ্রুত ও শক্তভাবে। গণচীন তাদের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য, বিশ্বাস করার যায় না, কী পর্যায়ের মানুষ, তাকে তিয়ানানমেন স্কয়ারে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে, মেরেছে। বিচারের আওতায় গণচীন। আমাদের এগুলোতে শক্ত অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।