অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হয়রানি: অবসর সুবিধা বোর্ডে দুদকের অভিযান

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশনের টাকা না দিয়ে হয়রানির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয় থেকে এ অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। একইসঙ্গে ছয়টি সরকারি দফতরের দুর্নীতি ও অনিয়ম অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশনের টাকা না দিয়ে হয়রানির অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অভিযান চালায় দুদক। অভিযানের শুরুতে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতা সেজে নীলক্ষেতের ব্যানবেইজ বিল্ডিংয়ে অবসর সুবিধা বোর্ডের দফতরের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। ওই দফতরে প্রয়োজনীয় ফান্ডের অভাবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া যাচ্ছে না মর্মে দুদক টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অবসর সুবিধা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জনবল সংকট ও ফান্ড সংকটের বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে তুলে ধরেন। সার্বিক বিবেচনায়, ফান্ড সংকট এবং পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের কারণে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

এছাড়াও দুদক টিম বিগত বছরগুলোতে পাওয়া মোট আবেদন, নিষ্পত্তি করা সাধারণ আবেদন ও বিশেষ বিবেচনায় নিষ্পত্তি করা আবেদনের তালিকা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত এসব রেকর্ডপত্রের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোনও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যথাসময়ে আবেদন করার পরও তার কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পান কমপক্ষে ২ বছর পর এবং অবসর সুবিধা (পেনশন) পান কমপক্ষে ৩ বছর পর। তবে বিশেষ বিবেচনায় কেউ কেউ উক্ত সময়ের আগেই পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। কী কী ‘বিশেষ বিবেচনায়’ কোন কোন ধরনের আবেদনকারীকে দ্রুত পেনশন দেওয়া হয়েছে সেসব রেকর্ডপত্রও সংগ্রহ করে দুদক টিম। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক টিম পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।