স্পার আড়ালে অনৈতিক কাজ: গ্রেফতার ২৪ আসামি কারাগারে

রাজধানীর গুলশানে স্পার আড়ালে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার ২৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

এদিন গ্রেফতার ২৪ আসামিকে আদালতে হাজির করে সিআইডি পুলিশ। আসামিদের মধ্যে ১৪ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড ও ১০ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক এএইচএম ফজলে রাব্বি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। 

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. রাকিব সবুজ, মোবারক আলী, মোহামাদ তাহমিদ আহমেদ, মো. শিপন ওরফে সাব্বির, নাদির উদ্দিন নাঈম, মো. শিফাত রাসেল, মো. ইব্রাহিম খলিল সাগর, ফরহাদ হোসেন হৃদয়, মোহাম্মদ জামাল, মো. মিরাজ, মোহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন, মোহাম্মদ ফারুক মিয়া, শামীম রায়হান, সরকার নাহিদুল ইসলাম, রাফসান হাবিব, মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ ইমাম হোসেন দর্জি, নাবিব আহসান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত, মো. আবু তাহের, আদনান সাঈদ ও হোসেন তাহসিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সিটি প্যালেস গেস্ট হাউজ অ্যান্ড স্পা সেন্টারের মালিক আসামি মো. মিজানুর রহমান ও ম্যানেজার মো. রইচ উদ্দিনসহ অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে স্পা ব্যবসার আড়ালে যৌন শোষণ ও যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের চাকরির প্রলোভনে ডেকে এনে উল্লেখিত স্থানে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্পা ব্যবসার আড়ালে পতিতালয় স্থাপন, পরিচালনা করে ভিকটিমদের পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্য আহ্বান করে ঘটনা ও ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮/১১/১২/১৩ ধারায় অপরাধ করেছে।

এই ঘটনায় সিআইডির উপপরিদর্শক ইমরান আহাম্মেদ বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।