চলতি বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেও কম। চলতি ২০২৩ সালের বোরো মৌসুমে চার লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে অর্জিত হয়েছে এক লাখ ৯৯ হাজার ৬৮৬ মেট্রিক টন— যা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ৪৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের সময় ছিল ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ওই সময়ে চার মেট্রিক টন ধান ছাড়াও সাড়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৫ মেট্রিক টন, যা অর্জনের ৯৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ জানানো হয়েছে— বোরো সংগ্রহ এ মৌসুমে ভালো হয়নি। তবে আমনের মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তারা আমাদের জানিয়েছে।’
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি খাদ্যগুদামে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯১২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪ মেট্রিক টন গম এবং তিন হাজার ২৪৩ মেট্রিক টন ধান। মজুতকৃত খাদ্যশস্য সন্তোষজনক বলেও দাবি করা হয়েছে।
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে বর্তমানে সরকারি খাদ্য গুদামে মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে চাল, গম ও ধানের মজুত সন্তোষজনক থাকায় কমিটির পক্ষে হতে মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানেয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন খাদ্যগুদামগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার ওপর জোর দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। গুদামে সংরক্ষিত খাদ্যের গুণগতমান যথাযথ রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত সাপেক্ষে যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়কে সজাগ থাকার জন্য কমিটির পক্ষ হতে সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আতিউর রহমান আতিক, হাজি মো. সেলিম, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং আঞ্জুম সুলতানা অংশগ্রহণ করেন।