পালিত হলো ইস্টার সানডে

আজ রবিবার (৯ এপ্রিল) পালিত হলো পবিত্র ইস্টার সানডে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের দিন এবং খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান দিবস বলা হয় এদিনকে।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করেন, এদিনে যিশু খ্রিষ্ট মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়ে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন। পুণ্য শুক্রবার বা গুড ফ্রাইডেতে বিপথগামী ইহুদি শাসকগোষ্ঠী তাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে যিশু খ্রিষ্টকে অন্যায়ভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস রবিবার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে ওঠেন বা পুনরুত্থান ঘটে। যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থানের এই রবিবারকেই ইস্টার সানডে বা পুনরুত্থান রবিবার বলা হয়।

তবে, বড়দিনের মতো ইস্টার সানডে কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও তারিখে পালিত হয় না। বলা হয়, ২১ মার্চের পর যখন আকাশে প্রথম দেখা যায় পূর্ণ চাঁদ, তার পরের রবিবার পালন করা হয় ইস্টার। মূলত গ্রেগরিয়ান এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডারসহ বেশ কয়েকটি দিনপঞ্জিকার হিসেব মিলিয়ে বের করা হয় ইস্টারের তারিখ, যা ৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে’র মধ্যে যেকোনও সময় হতে পারে।

দিনটি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য উৎসবের। ৪০ দিনের প্রায়শ্চিত্তকাল বা রোজা শেষে ইস্টার সানডে তাদের জন্য বয়ে আনে আনন্দের বার্তা। তাই, দিনটি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দিনটি উপলক্ষে রবিবার (৯ এপ্রিল) ভোরে মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থিত ঢাকা আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাতঃকালীন প্রার্থনা করেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। প্রার্থনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী এবং আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। ভোরে মেজর গ্যানেন্দ্র বাড়ৈ প্রারম্ভিক প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এরপর প্রার্থনা সংগীত ‘সমাবেত কয়ার’, বাইবেল পাঠ, আশীর্বচন অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

উপাসনা অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী ও ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।