বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড: দুই মামলায় ৫ জন রিমান্ডে

রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় আল আমিন ও জাহাঙ্গীর নামে আরও দুই জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে একই অভিযোগে ফায়ার সার্ভিসের করা একটি মামলায় তিন ব্যবসায়ীকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

পুলিশের করা মামলাটিতে গতকাল বৃহস্পতিবারও (৬ এপ্রিল) তিন জনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। সবমিলিয়ে দুই মামলায় এখন পর্যন্ত আট জনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) শুনানিতে বেলায়েত ও জসিম নামে বঙ্গবাজার মার্কেট কমিটির সদস্যের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুল হাসান।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম আসামি বেলায়েত ও জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর দিকে বেলায়েত ও জসিমের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। 

এর আগে এই মামলায় বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) মো. রাজু, শাওন ও শাহাদাৎ হোসেন নামে তিন জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইস্রাফিল হাওলাদার বাদি হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য বংশাল থানাধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরসহ অন্যান্য ফায়ার সার্ভিসের অনেকগুলো ইউনিট কাজ করে। একপর্যায়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশপাশের মার্কেটসহ বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনেক্সকো ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিল যে, অনেক প্রচেষ্টার পরও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্রসহ বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটের বিপরীত পাশে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে হঠাৎ করেই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেন। 

বাদি ও তার সহযোগীরা (পুলিশ) সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দৃষ্কৃতকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, লোহার রড ও লাটিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এতে বাদি (এসআই ইস্রাফিল হাওলাদার) গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খানও জখম হন।