বঙ্গবাজারে আগুন

পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের ওপর হামলার ঘটনায় ৩ জন রিমান্ডে

বঙ্গবাজারে আগুন নেভানোর সময় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন– মো. রাজু, শাওন, শাহাদাৎ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তে তাদের তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মাসুদুল হাসান। অপর দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বংশাল থানার এসআই ইস্রাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে বংশাল থানার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরসহ ফায়ার সার্ভিসের অনেকগুলি ইউনিট। এক পর্যায়ে আগুন আশেপাশের মার্কেটসহ বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স’র এনেক্স ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিল যে অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিস আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। অধিকাংশ দোকান পুড়ে যাওয়ায় অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনীভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে হকার্স মার্কেটের বিপরীত পাশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়। সরকারি দায়িত্ব পালনে বলপূর্বক বাধা দেয়।

এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা এডিসির (চকবাজার জোন) নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। বাদী ও তার সহযোগীরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দৃস্কৃতকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে অজ্ঞাত আসামিরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে বাদীকে গুরুতর আহত এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খানকে জখম করে।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা ব্যবসায়ী কিনা জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) মাসুদুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাদের সবাই স্থানীয় উৎসুক জনতা, কেউ ব্যবসায়ী না।’