গুলশানে আগুন

ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০, সিকদার মেডিক্যালে একজনের মৃত্যু

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে একটি আবাসিক ভবনে রবিবার রাতের অগ্নিকাণ্ডে আহত ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে। এদের মধ্যে চার জন শিশু ছিল বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চার জন শিশুর তিন জনকে সোমবার সকালে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং একজন এখনও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। আর এখনও পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ইউনাইটেড হাসপাতাল জানায়, আহত মুসা সিকদার এবং রওশন আলী নামের দুই ব্যক্তিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়েছে। এই দুই ব্যক্তি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এছাড়া আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন সাত জন এবং একজন করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। পাশাপাশি দুই জন স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন।

হাসপাতালের পাবলিক রিলেশন্স অ্যান্ড ইভেন্টস বিভাগের ম্যানেজার আরিফুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ভর্তি রোগীদের অবস্থা উন্নতির দিকে।

পাশাপাশি অগ্নি দুর্ঘটনায় ১৫-২০ জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গুলশানের জেড এইচ শিকদার উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার মধ্যে একজন রবিবার মধ্যরাতে মারা যান। মৃত ব্যক্তির নাম রাজীব বায়েজিদ রাজু। তার বয়স ছিল ৩৮। তিনি ওই বিল্ডিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে বাবুর্চির কাজ করতেন। রাতে তাকে আইসিউতে ভর্তি করা হয় এবং রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ম্যানেজার মোস্তাকিম বাদশা। আগুন থেকে বাঁচতে রাজু বিল্ডিং থেকে লাফ দেন। তাতে তার পা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া সায়মা রহমান নামে একজন আহত রোগীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদশা। আর চিকিৎসা নিতে আসা সবাই বর্তমানে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানান তিনি।

সায়মা রহমান বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

গুলশানের ১৪ তলা ওই ভবনে রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় আগুন লাগার পর চার ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আবাসিক ওই ভবনের নিচ তলা বাদে ওপরের ১২ তলার ছয়টি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে কয়েকটি পরিবারের বসবাস। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভবনের বিভিন্ন তলায় অনেকে আটকা পড়েন। ওপরের দুটো ফ্লোরে আগুন থেকে বাঁচতে ব্যালকনি থেকে লাফিয়ে পড়েন কয়েকজন।

তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনকে (৩০) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।