আর কিছু দিন পরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা। এজন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে রঙ ও প্রতিমা সাজানোর কাজ। রঙ তুলির আঁচড়ে প্রতিমা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। আশ্বিন মাসের দশ দিন ধরেই দুর্গাপূজার উৎসব পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। যদিও উৎসব শুরু হয় ষষ্ঠী থেকে।
দুর্গাপূজার পাঁচ দিন মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী হিসেবে পরিচিত। রাজধানীজুড়েই পূজা হয়। তবে সবচেয়ে জমজমাট পূজা উদযাপন করা হয় রাজধানীর পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে। সরেজমিন দেখা যায়, পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, নর্থব্রুক হল রোড, শ্রী শ্রী কালী মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় একমাস ধরে নিরলসভাবে প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন শিল্পীরা।
নর্থব্রুক হল রোডের দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পী বলাই পাল। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর অর্ডার একটু বেশি পেয়েছি। কাজ প্রায় শেষ। এখন রঙ ও সাজের কাজ চলছে। আগে রঙ তুলি দিয়ে কাজ করতাম। অনেক সময় লাগতো। এখন তুলির কাজ কম। স্প্রে মেশিনে রঙ করলে সময় কম লাগে। একজন মৃৎশিল্পী হিসেবে দুর্গাসহ অন্যান্য দেব-দেবীকে নিজ হাতে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু হতে পারে না।
এদিকে পূজাকে কেন্দ্র করে জমজমাট শাঁখারিবাজার। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাওয়া যায় এখানে। পূজা উপলক্ষে শাঁখা, সিঁদুর ও শাড়ি কিনতে আসা গৃহিণী অনিমা বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা। এই সময়টায় পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটে। কিন্তু গতবার পূজার সময় নোয়াখালীতে আমার আত্মীয়-স্বজনদের ওপর হামলা হয়েছে। একজন মারাও গেছেন। তাই এ বছর মনের ভেতর একটু ভয় কাজ করছে আবার না জানি কী হয়।