‘অর্ধেক পরিবহন’ নিয়ে যত প্রশ্ন

আসন যত যাত্রী তত, এই নিয়মে গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আছে ‘অর্ধেক যানবাহন’ চালানোর নির্দেশনা। অর্ধেকের হিসাবটা কীভাবে বের করবেন তা ঠিক করবে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবহন মালিকরা। তারা বলেছেন, এক মালিকের দেশব্যাপী কয়টি গাড়ি আছে তা বের করা কঠিন। আবার অর্ধেক বন্ধ থাকলে অনেক শ্রমিকও বেকার বসে থাকবে। অন্যদিকে যার একটি গাড়ি আছে তার কী হবে?

প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন মালিক-শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবহনের সংখ্যা ঠিক করবেন, এমনটা বলা হলেও পরিবহন মালিকরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের কথা হলো, এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। বিপুল সংখ্যক পরিবহনের মাঝে কোনগুলো অর্ধেকের মধ্যে পড়বে, আর কোনটার বন্ধ থাকার কথা ছিল সেটা বের করা হবে কী করে? তাছাড়া অর্ধেক পরিবহন চললে তো মানুষ গাদাগাদি করে উঠবে, তাতে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়বে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত সোমবার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের নির্দেশনা মেনে আগের ভাড়াতেই গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকাসহ দেশের সকল পরিবহন মালিকদেরকে এ সংক্রান্ত নির্দেশও দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চলবে। এখন এক মালিকের কয়টি গাড়ি আছে বা কার কতটি চলছে তা নির্ধারণ করা কঠিন। আবার এতে অনেক শ্রমিক বেকার থাকবে। মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতদিন পর গাড়ি চালু হচ্ছে। যার একটি গাড়ি আছে তার কী হবে? এতে পরিবহন সঙ্কটও দেখা দেবে। যাত্রীর চাপ বাড়বে। সংক্রমণ বাড়বে। এসব বিবেচনা করে সকল গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’

রবিবার (৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিবহনের যাত্রী, চালক, সহকারী ও টিকিট বিক্রেতাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রা শুরু ও শেষে যানবাহন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।