শরণংকর ভিক্ষুর অপরাধের দায় নেবে না হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

1শরণংকর ভিক্ষুর অপরাধের দায় নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। রবিবার (৮ নভেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউ মার্কেট চত্বরে দেশব্যাপী সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত শনিবারের (৭ নভেম্বর) সমাবেশে বিতর্কিত শরণংকর থেরো’র পক্ষে কিছু মানুষের ব্যানার সম্বলিত অবস্থান ও স্লোগান প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে একথা রানা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
শনিবারের সমাবেশে ‘শরণংকর থেরোকে ক্ষেপালে, তার ফল ভালো হবে না’, ‘অপমানের বদলা তুলে নেবো আমরা’ – এমন প্ল্যাকার্ড আর ব্যানার নিয়ে অবস্থান ও স্লোগান দেন শরণংকর থেরো’র অনুসারীরা। অবস্থান কর্মসূচিকে বিভক্ত করে আলাদা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শরণংকরের অনুসারীরা।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘বিষয়টি আমি পরে খেয়াল করেছি। শরণংকরের পক্ষে ৮-১০ জন লোক এখানে দাঁড়িয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে বকাঝকা করেছি এবং আর কখনও একটি বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে যেনও না আসে সেজন্য তাদের সাবধান করে দিয়েছি।’
রানা দাশগুপ্ত প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকারি বনবিভাগের জায়গা দখল করে কেন বৌদ্ধবিহার করতে হবে? জোরপূর্বক জমি দখল করে ধর্মের নামে অন্যায় পথে যারা হাঁটবে তাদের সঙ্গে আমরা নেই। কোনও অপরাধী, অন্যায়কারীকে আমরা কখনও প্রশ্রয় দেইনি, ভবিষ্যতেও দেবো না।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গুনিয়ার ফলাহারিয়া গ্রামে বনবিভাগের জায়গা দখল করে নির্বিচারে গাছপালা নিধন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্মশান ভাঙচুর করে জ্ঞানশরণ মহারণ্য বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা ও একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করে দেশব্যাপী তুমুল বিতর্কের জন্ম দেন শরণংকর ভিক্ষু।