মেধাবৃত্তি পাবে না লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

আকরাম-আল-হোসেনপ্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে না হওয়ার কারণে এবার মেধাবৃত্তি পাচ্ছে না প্রায় এক লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তিও পরীক্ষা না হওয়ার কারণে প্রাথমিক বৃত্তিও পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। তবে উপবৃত্তি চালু থাকবে আগের মতোই।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী প্রায় ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৩ হাজার জনকে ট্যালেন্টপুল এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়। এছাড়া ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর প্রায় ২২ লাখ ৫০০ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা বা মূল্যায়নের কারণে মেধাবৃত্তি দেওয়ার সুযোগ নেই।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে যে বৃত্তি দেওয়া হয় সেটা এ বছর দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে উপবৃত্তি চালু থাকবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পায়। এর আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হলেও ২০১০ সালে সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে উপজেলাভিত্তিক মেধাবৃত্তি চালু করা হয়।
সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উপবৃত্তি দিয়ে আসছে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে মাসে ৭৫ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসে ১৫০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি খোলা হয়েছে সেসব বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসে ২০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয় সরকার। শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ, স্কুলে আগ্রহী করে তোলা এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে বৃত্তি এবং উপবৃত্তি চালু করে সরকার।