তিনি বলেন, রিট আবেদনটির ওপর বিচারপতি তারিক-উল-হাকিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার বিষয়ে বার কাউন্সিল ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এক নোটিশ দিয়ে জানায় যে, পূর্বে যারা এমসিকিউ পাশ করেছে তাদের নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হবে না। হঠাৎ করে গত ২৬ জুলাই এসে বলছে যে, তারা লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পাবে না। এক মুখে দুই কথা আইনের দৃষ্টিতে কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় উল্লেখ করে রিট আবেদনে বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাতিল চাওয়া হয়েছে।
বার কাউন্সিলের গত ২৬ জুলাই দেওয়া নোটিশে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর সংশোধিত বার কাউন্সিল রুলের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কেননা এর আগে বার কাউন্সিল এমসিকিউ উত্তীর্ণরা দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবে বলে রুলস সংশোধন করেছিলো। তাই দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষার সুযোগ বর্তমান পরীক্ষার্থীরা অবশ্যই পাবেন। অবিলম্বে কার্যকর হওয়ার অর্থই হল বর্তমান পরীক্ষার্থীরা আগামী ২৬ তারিখের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
‘দ্বিতীয়ত এই রুল সংশোধন করা হয়েছে বর্তমান পরীক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য। এছাড়া এই সংশোধনের আর কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। বার কাউন্সিল সংশোধিত এই রুলসের উদ্দেশ্য ব্যাহত করেছে। ফলে এই নোটিশ কার্যকর হতে পারে না।’
নোটিশে আরও বলা হয়, এনরোলমেন্ট এমসিকিউ পরীক্ষায় একবার উত্তীর্ণ হলে পরপর দুইবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে জারিকৃত গেজেটে (২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রুলস সংশোধন করে "ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে" মর্মে উল্লেখ রয়েছে। এই সংশোধনীটি করা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর। ফলে উক্ত তারিখের পূর্বে যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন তারা দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। তবে যদি সরকার উক্ত সংশোধনীটির প্রয়োগ ভূতাপেক্ষাভাবে প্রয়োগ করার উল্লেখ করে কোনো সংশোধনী প্রদান করে, কেবলমাত্র সেইক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বরের পূর্বে যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন তারাও দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষা দিতে পারবেন।