রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লেখা ওই চিঠিতে ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) ১৯৮২’ অনুযায়ী হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া, ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সাত দিনের মধ্যে তার সুস্পষ্ট জবাব দিতে বলা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ১৮ জুলাই হাসপাতালটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নানাবিধ অনিয়ম পেয়েছে। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তারা কোনও লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।’
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটিতে উন্মুক্ত স্থানে মূল্য তালিকা টানানো হয়নি। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি দেখা গেছে। চিকিৎসক অপারেশন করলেও তাকে সহায়তা করেন ওয়ার্ডবয় এবং নন-মেডিক্যাল লোকজন। হাসপাতালটির পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। বিপজ্জনকভাবে অক্সিজেন রাখা হয়েছে। যেকোনও সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল। পরিদর্শনকালে আইসিইউ বন্ধ পাওয়া যায়। এমন হাসপাতাল আইসিইউ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়।’