রাজধানীর কদমতলীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশু দগ্ধ

সাবরিনারাজধানীর কদমতলীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিশু দগ্ধ হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে দক্ষিণ ধনিয়া রহিম সাহেবের বাসার তৃতীয় তলার ছাদে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ, বাড়ির মালিকের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শিশুটি দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে।

দগ্ধ শিশুটির নাম সাবরিনা (১১)। সে স্থানীয় রেনেসা আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিন বোনের মধ্যে সে ছোট। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার পশ্চিম শেখপুরে। 

শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবরিনার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।  সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শিশুটির বাবা শাহ আলম বলেন, ‘তৃতীয় তলা বিশিষ্ট ওই বাড়ির নিচতলায় আমরা ভাড়া থাকি। বৃহস্পতিবার বিকালে আমার ছোটমেয়ে সাবরিনা কাপড় নাড়তে ছাদে যায়। এ সময় ভবনের পাশ দিয়ে যাওয়া হাই ভোল্টেজের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভবনের পাশ দিয়ে বিপজ্জনকভাবে যাওয়া হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারগুলোর পাশে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাড়ির মালিককে একাধিকবার বলার পরও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। কয়েক মাস আগেও এই ভবনে এরকম আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল। এক শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গিয়েছিলেন। তখন এলাকাবাসীও বাড়ির মালিককে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। তিনি যদি সেখানে কোনও ব্যবস্থা নিতেন তাহলে আমার মেয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হতো না। আমি এর বিচার দাবি করছি।’ 

বাড়ির মালিক আব্দুর রহিম অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি  বলেন, ‘তাদের অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে শিশুটি।’ এর আগেও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহতের ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তখন রঙের কাজ করার সময় এক শ্রমিক মারা গেছেন।’