এর আগে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম বেতারে প্রচারের উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দফায় দফায় এই ছুটি বাড়িয়ে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ছুটি আরও বাড়তে পারে এমনটাই ধারণা করছেন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক রেকর্ডিং ক্লাস সংসদ টেলিভিশনে প্রচার শুরু করে। ‘ঘরে বসে শিখি’ শীর্ষক এই ‘শ্রেণি কার্যক্রম’ শুরু করা হয় গত ৭ এপ্রিল থেকে। সংসদ টিভিতে প্রচারিত এই ভিডিও শ্রেণি কার্যক্রম ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হচ্ছে পর্যায়ক্রমে। এছাড়া শিক্ষা বাতায়নে আপলোড করা হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রমের ভিডিও। পাশাপাশি ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে নতুন একটি ওয়েব পোর্টালও তৈরি হচ্ছে স্থায়ীভাবে, যা করোনা পরবর্তীতেও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পরিচালিত হবে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বেতার বার্তায় প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হলে ক্লাস রেকর্ডিং করে তা প্রচার করা হবে নির্দিষ্ট সময়ে। ক্লাস রুটিন জানিয়ে দেওয়া হবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে কাজ করবেন। প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা অভিভাবকদের সচেতন করবেন বিভিন্ন মাধ্যমে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ এ বিষয়ে বলেন, ‘করোনার সময় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা রেডিওতে শ্রেণি কার্যক্রম প্রচারের ব্যবস্থা নিচ্ছি। খুব শিগগিরই এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিওতে প্রচার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংসদ টেলিভিশনের শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। তবে সবাই এতে অংশ নিতে পারছে না। অনলাইন ব্যবহার করার সুযোগও সবার নেই। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে টেলিভিশন নেই, সেখানে রেডিওতে শ্রেণি কার্যক্রম প্রচার হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য সহায়ক হবে। সে কারণেই রেডিওতে শ্রেণি কার্যক্রম প্রচারের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’