সোমবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তেজকুনিপাড়ার ১৮৬/১০/এ নম্বর ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মুন্নি আক্তার ওই বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে আটটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্নির বড় ভাই মেহেদী জানান, সন্ধ্যায় নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেন তার বোন। তিনি বলেন, ‘এ সময় আমার বাবা পাশের রুমে বসে টিভি দেখছিলেন। মুন্নির কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি দরজায় নক করেন। পরে দরজা ভেঙে মুন্নিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’
‘কী কারণে ফাঁস দিয়েছে বলতে পারছি না। তবে পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও ঝগড়া হয়নি’ বলে জানান মেহেদী।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মুন্নি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। করোনার কারণে ওই প্রতিষ্ঠানটি অনেক দিন বন্ধ থাকায় তিনি বেকার ছিলেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ওই তরুণীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
মুন্নি আক্তার চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার মনপুরা গ্রামের মোহাম্মদ মিজানের মেয়ে। তেজকুনিপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।