শনিবার (২ মে) দুপুরে তিতুমীর কলেজের ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ফেব্রুয়ারিতে এই হোস্টেলে উঠেছি। লকডাউনের কারণে বাড়িতে যেতে পারিনি। হোস্টেলেই আছি। লকডাউনের কারণে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ কেউ এখানে নেই। আমি রান্না করেই খাচ্চ্ছি। পাঁচতলা ভবনের প্রথম দুটি ফ্লোরে হোস্টেল। তৃতীয় তলায় বাড়ির মালিক এবং চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় বাড়ির মালিক পরিচালিত ছাত্রীদের মেস রয়েছে। নিবেদিকা ছাত্রী হোস্টেলে ৪০-৫০ জন ছিলেন। সবাই লকডাউনের কারণে চলে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িওয়ালা হোস্টেল কর্তৃপক্ষের কাছে নাকি ভাড়া পাবেন। আমার কাছে ভাড়া চাচ্ছেন। আমি বলছি, আমি তো হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেবো। কিন্তু তিনি আমার কোনও কথাই শুনছেন না। হোস্টেলের ইউটিলিটি সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছেন। হোস্টেলের ফ্রিজ বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি এখন কী খাবো কোথায় যাবো বুঝতেছি না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ বিষয়ে নিবেদিকা হোস্টেলের ম্যানেজার নাজনীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শঙ্করে আমাদের নিবেদিকা হোস্টেলের কোনও ব্রাঞ্চ নেই। ওই আটকা পড়া ছাত্রীর নাম বললেও তিনি চিনেন না।’
এ বিষয়ে জানতে বাড়িওয়ালাকে কয়েকবার ফোন ও মেসেজ দিয়েও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে ছাত্রী হোস্টেলের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। বাড়িওয়ালা পলাতক থাকায় পানির লাইন এখনও দিতে পারেনি। কারণ পানির মোটরের সুইচ বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটের ভেতরে।