লিবিয়ায় নিহত তিন জনের মরদেহ দেশে, ফিরলেন আরও ১৫২ কর্মী

দেশে ফেরার আগে লিবিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীরা

লিবিয়ায় বিভিন্ন ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশির মরদেহসহ দেশে ফিরেছেন ১৫২ জন কর্মী। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। লি‌বিয়ায় বাংলা‌দেশ দূতাবাস এবং জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম’র সহায়তায় তাদেরকে দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয় বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যে তিন জনের মরদেহ আনা হয়েছে তারা হলেন-  রাজশাহীর বাগমারার বাবুল হোসেন, নাটোরের লালপুরের নজরুল ইসলাম এবং গাইবান্ধার এরশাদ।

দেশে ফেরার আগে লিবিয়া বিমানবন্দরে বাংলাদেশি কর্মীরা

এর আগে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছিল, একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে মিসরাতা বিমানবন্দর থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তারা। দূতাবাস আরও জানায়, বিভিন্ন ঘটনায় নিহত তিন জন, ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা এবং ত্রিপলীতে ড্রোন হামলায় মারাত্মকভাবে আহত ১০ জন প্রবাসীসহ মোট ১৫২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, আইওএম-এর কোনও চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো তিন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃতদেহ পাঠানো হলো।

 

লিবিয়া থেকে আসা স্বজনের মরদেহ বুঝে নিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরাউল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর সকালে ত্রিপলীর ওয়াদি রাবিয়া এলাকার একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে ড্রোন হামলায় সাত জন শ্রমিক নিহত হন এবং ৩০ জনের মতো আহত হন। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, চলমান পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছায় লিবিয়া ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।