ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের কোনও সদস্যকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘একজন এএসআইকে বদলি করা হয়েছে।’ একজন এএসআই কি ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, এমন প্রশ্নও রাখেন ডিএমপি কমিশনার।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম ও ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম, অর্থ সম্পাদক দুলাল হোসেনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মফিজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম ও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ও গোল্ডেন ঢাকা ক্লাবে ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী অভিযান চালায় র্যাব।
এসব ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন নেপালের নাগরিকেরা। প্রায় ১০০ নেপালি এ কাজ করতেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন থাকতেন সেগুনবাগিচার একটি বাসায়। ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী অভিযানের সময় পুলিশের এএসআই মিঠু ও দীপংকর চাকমা ১৫ নেপালিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ জুয়ার আড্ডা বা ক্যাসিনো চলতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার