মোহাম্মদপুরে মাদ্রাসার রান্নাঘর ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা, মেয়র দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত



পার্কের অংশে রান্নাঘর থাকা নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের মিনার মসজিদ ও মাদ্রাসা এবং পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। মঙ্গলবারও (৩ সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।



গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) রান্নাঘরটি উচ্ছেদ করে। এ নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া হয়।
মঙ্গলবার খবর ছড়িয়ে পড়ে, রান্নাঘরের জায়গা ফের দখলে নিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ডিএনসিসির বুলডোজার গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকশ’ ছাত্র মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেয়।
স্থানীয়রা জানান, রান্নাঘরটি দ্বিতীয় দফায় ভাঙতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বুলডোজার নিয়ে গেলে মাদ্রাসাছাত্ররা বেরিয়ে আসে। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। স্থানীয় (২৯ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে সমঝোতার উদ্যোগ নেয় তারা। দীর্ঘ বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ একমত হয়, মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশে ফিরে এলে আবার বৈঠক হবে। মেয়রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রান্নাঘরের জায়গায় যে চুলা রয়েছে সেখানে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রান্নাবান্না করছে। পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে তারা আপাতত রান্না চালিয়ে যাবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম এখন দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফিরে এলে বিষয়টির চূড়ান্ত মীমাংসা করা হবে।’
জামিয়া বায়তুল আমান মিনার মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র (মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা) কমিটির সেক্রেটারি ওবায়দুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, মাদ্রাসার রান্নাঘর যেখানে যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকবে। তিনি দেশের বাইরে আছেন। কিন্তু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রান্নাঘরটি ভেঙে ফেলে।’ আজও (মঙ্গলবার) পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। মেয়র ফিরে আসলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কেউ যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করেন সেজন্য বলে দেওয়া হয়েছে। মেয়র দেশে ফেরা পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।