মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকালে দক্ষিণ নগর ভবনের বারান্দায় ওষুধ দু’টির ফিল্ডটেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষার ২০ মিনিট পর ৮৪ থেকে ১০০ ভাগ মশা জ্ঞান হারিয়েছে। ফলে ওষুধের মানসম্মত ‘কার্যকারিতা’ রয়েছে বলে প্রথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (৭ আগস্ট) ২৪ ঘণ্টা পর ওই ওষুধের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। এ পর্যায়ে ওষুধ দু’টি শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি করা নমুনা ওষুধের ফিল্ড টেস্ট রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওষুধটি শতভাগ কার্যকর। এটি ছিল প্রাথমিক পরীক্ষা। এতে সংগৃহীত নমুনার ম্যালাথিউন ৫% ও ডেলটাম্যাথরিন ১.২৫% নামে ওষুধ দু’টির শতভাগ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। তাই এটিকে আমরা শতভাগ উত্তীর্ণ ধরে নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী মশার কোনও ওষুধ সংগ্রহ করার আগে আমরা এভাবে পরীক্ষা করে থাকি। তারপর সে পরীক্ষার রিপোর্ট আইইডিসিআর এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংএ পাঠাই। সেখান থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে চূড়ান্ত ফল আসলে আমরা ওষুধগুলো প্রয়োগ করবো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইডিসিআরের (সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মিনতি সাহা, উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।