বুধবার (৩১ জুলাই) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক এস এম আখতার হামিদ ভূঞা তাকে তলবি নোটিশ পাঠান।
এর আগে প্রথম দফায় গত ২২ জুলাই নোটিশ পাঠিয়ে তাকে এদিনই দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। হাজির না হয়ে তিনি সময় চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছেন।
দুদক জানায়, ১৪ তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি নিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বনানী মার্কেটে ৩০ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে সিটি করপোরেশনের ৬০ কাঠা জমির মধ্যে ৪৪ কাঠা জমির ওপর ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নূর আলীর বোরাক রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের ২০০৬ সালের ৭ মে চুক্তি হয়। আগে সেখানে ৩ তলা মার্কেট ছিল। চুক্তি অনুযায়ী ডিএনসিসি পাবে ভবনের মাত্র ৩০ শতাংশ, বাকি ৭০ শতাংশ পাবে নূর আলীর প্রতিষ্ঠান। চুক্তিতে ১৩ তলা ভবন নির্মাণের কথা ছিল। ২০১০ সালের ৪ নভেম্বর ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য চুক্তি সংশোধন হয়। পরে ৩০ তলা ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দিলেও তার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন ১৪ তলার ওপর আর কোনও তলা নির্মাণ না করতে নূর আলীর প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায়। তবে তারা ওই চিঠির তোয়াক্কা করেননি।
দুদক যা খতিয়ে দেখছে
১. চুক্তি ভঙ্গ করে কীভাবে ৩০ তলা ভবন নির্মাণ করলো নূর আলীর প্রতিষ্ঠান;
২. তাদের অবৈধ কাজে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, রাজউক, ওয়াসা ও পরিবেশ অধিদফতরের যোগসূত্র আছে কিনা;
৩. চুক্তির বাইরে আরও ১৬ তলা ভবন নির্মাণ করে নূর আলী আর্থিকভাবে কতটা লাভবান হয়েছেন;
৪. বহুতল ভবন নির্মাণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র নিতে হয়। অনাপত্তিপত্র না নিয়ে কীভাবে এই ভবন নির্মাণ করা হলো এবং
৫. মার্কেটের মোট জমির পরিমাণ ৬০ কাঠা। ভবন নির্মাণ হয়েছে ৪৪ কাঠায়। বাকি ১৬ কাঠা জমি কীভাবে দখলে নিয়েছেন নূর আলী। আর সেখানে আরেকটি ভবনই বা কীভাবে নির্মাণ করলেন তিনি।