এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ পেট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাদের বিক্ষোভ মিছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে যেতে চেয়েছিল । কিন্তু এভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মন্ত্রণালয় যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাই আমরা পল্টন জিরো পয়েন্ট মোড়ে তাদেরকে বাধা দেই। পরে তারা সেখানে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে চলে যায়।’
এর আগে, প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের ঋণ মওকুফ করার জন্য দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশনা দিয়েছে? আপনি কোন ক্ষমতাবলে, কোন নির্দেশনায় ব্যাংক লুটেরাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন? আমরা এই উদ্যোগের নিন্দা জানাই।’
দেশের বাইরে সেকেন্ড হোমের নামে অর্থ পাচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গত কয়েকদিন ধরে শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে। গত এক মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকার শেয়ার মার্কেট থেকে তারা সরিয়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতিবাজদের টাকা বাংলাদেশে কোনও ব্যাংকে থাকে না। আপনারা জানেন, কানাডা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম মনে করে তারা গাড়ি, বাড়ি ও ব্যবসার নাম করে বাইরে টাকা পাচার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কতগুলো টাকাতে লোপাট হলো, সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে হরিলুট চলছে, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে দেখলাম না দুদক থেকে কোনও মামলা বা ব্যবস্থা নিতে।’
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে যদি এই ঋণগুলো উদ্ধার করতে না পারেন, তাহলে অনতিবিলম্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করুন। লুটপাটের এই সংস্কৃতি থেকে বাম জোট বাংলাদেশকে বের করে আনতে চায়।’
বিক্ষোভ সমাবেশে বাম দলের নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, মোশারফ হোসেন নান্নু, শাহ আলম, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মানস নন্দীসহ বিভিন্ন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।