ডিপিডিসি’র ‘ধনকুবের’ রমিজকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

রমিজ উদ্দিনসম্পদের ‘কুমির’ ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সেগুনবাগিচায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন রমিজকে তলবি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রমিজ উদ্দিনকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠান দুদকের উপপরিচালক ঋত্ত্বিক সাহা। দুদক জানায়, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে সাততলা, মিরপুরের পূর্ব মনিপুরে ছয়তলা, মিরপুরের মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮ নম্বর রোডের ৪ দশমিক ৫ কাঠা জমির ওপর পাঁচটি দোকান ও টিনসেড বাড়ি এবং পূর্ব রামপুরায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমির ওপর বাড়ি আছে।
এছাড়া টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে ৩০ একর জমি রয়েছে রমিজের। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে অনেক জমি। মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি। পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে।
রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক। দুদক জানায়, ২০১৮ সালে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হয়। অনুন্ধান কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক শহিদুর রহমান তদন্তে নেমে এসব সম্পদের তথ্য পান।

আরও পড়ুন: ডিপিডিসির ‘ধনকুবের’ প্রকৌশলী রমিজকে দুদকে তলব