দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘জামায়াতবিহীন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে শুরু হয় সাপ্তাহিক এই আয়োজন।
এ প্রসঙ্গে নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরে, আমাদের এখানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দল ও রাজনীতি এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছায়, যে মানুষের অনুভূতিতে আওয়ামী লীগ চিত্রিত হয় ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে। ধর্মনিরপেক্ষতাকে চিত্রিত করা হয় ধর্মহীনতার নামান্তর হিসেবে। কাজেই আওয়ামী লীগকে এই জায়গায় কিছু নমনীয়তা গ্রহণ করতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমি কোনও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পক্ষে নই। আমি রাষ্ট্রধর্মের পক্ষে নই। ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করলে আমি খুশি হতাম। কিন্তু আমি আবার প্র্যাকটিক্যাল পলিটিক্সের অবস্থান থেকে দেখি যে, ইংল্যান্ডে রাষ্ট্র নিয়ে আইন আছে, কিন্তু সেটার কোনও কার্যকারিতা আছে? ইংল্যান্ডে রাষ্ট্রধর্ম আছে, সেটার কোনও কার্যকারিতা আছে? নেই। সুতরাং আমাদের বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মনস্তত্ত্বকে বিবেচনায় নিতে হয়। সেটি বিবেচনায় নিয়ে তার মেইন ফোকাস যেটা রাজনীতিতে, সেই জায়গাটিকে যদি আমি নিবদ্ধ করতে পারি, তাহলে এগুলো কোনও প্রধান বিষয় হয়ে সামনে আসে না। সেটাই আমরা দেখেছি ৯০-এর পরে– জাহানারা ইমাম, সুফিয়া কামাল এবং শেখ হাসিনা এক মঞ্চে বসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন।’
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় এ বৈঠকিতে আরও অংশ নিচ্ছেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরিফ জেবতিক ও বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম।
রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা যাচ্ছে এ আয়োজন।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম