এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রায় ঘোষণাকালে আদালত বলেন, ‘দেশে শত শত নদ-নদী রয়েছে। এসব নদী দখলকে কেন্দ্র করে পৃথক পৃথক মামলা হয়, পৃথক পৃথক আদেশ হয়। দখলদারেরা ফের গিয়ে দখল করে, এমনটি চলতে দেওয়া যায় না। আমরা সবগুলোকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসতে চাই। নদ-নদী নিয়ে এসব কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
আদালত আরও বলেন, ‘এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের একটি রায় ও গাইড লাইনের আলোকে নদী কমিশন গঠিত হয়েছে। আইনও তৈরি হয়েছে। আমরা সেটি দেখে আরও কিছু গাইড লাইন দিয়ে রায় দেব।’
এ সময় আদালত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘সাংবাদিকদের তথ্যবহুল প্রতিবেদনের আলোকেই আমরা সমাজের অনিয়মের কথা জানতে পারি। সাংবাদিকরা বংশিবাদকের মত। নদী দখলসহ সব ধরনের অনিয়মের কথা সাংবাদিকরাই তুলে ধরেন। আমাদের দেশের সাংবাদিকতার অনেক উন্নয়ন দরকার।’ আদালত যুক্তরাষ্ট্রের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, ‘দুই সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সে দেশের সরকার পতন হয়েছিল। আমাদের দেশেও সেই ধরনের এফেক্টিভ জার্নালিজম হওয়া দরকার। এতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।’
এরপর আদালত আগামী রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মামলা অসমাপ্ত রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
প্রসঙ্গত, তুরাগকে মৃত ঘোষণা সময়ের ব্যাপার-এ ধরনের শিরোনামে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। এরপর এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত কয়েকদফা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত।