তাদের প্ল্যাকার্ডে রয়েছে চার শব্দের একটি বাক্য, ‘হর্ন হুদাই বাজায় ভুদাই।’ বাক্যটি দেখেই বুঝতে বাকি থাকে না তাদের উদ্দেশ্য কী? তারপরও দাঁড়িয়ে থাকা তরুণদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কে অযথা হর্ন বাজানো রোধ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এই প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে যারা অযথা হর্ন বাজাচ্ছেন, তাদের একদিকে যেমন লজ্জা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, পাশাপাশি সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজটিও করছেন তারা।
শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের মোড়ে বাংলাদেশ আই হসপিটালের সামনে চারটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ানো ছিলেন রয়েলসহ আরও কয়েকজন তরুণ। নিয়মিতভাবে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে জনসচেতনতা তৈরির কাজটি করেন তারা। তাদের কাজকে সবাই সাধুবাদ জানাচ্ছে বলে জানান রয়েল।
রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশ, পথচারী, মোটরসাইকেল চালক, চা দোকানি, গাড়ির চালকসহ সব শ্রেণির মানুষ এই উদ্যোগকে স্বাগত চানাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রয়েল।
উদ্যোগের শুরুর কথা জানিয়ে রয়েল বলেন, ‘শুরুটা চার বছর আগে। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঢাকা এমন কোনও শহর না যেখানে ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে আপনার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে। এত জনবহুল একটা শহরে অযথা হর্ন বাজানোর দরকার নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্টাডি করেছি, যারা এক্সপার্ট তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। অতিরিক্ত হর্নের কারণে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। মানুষের টেম্পারমেন্ট কমে যায়, উচ্চ রক্তচাপ হয়, গর্ভবতী মায়ের সন্তান ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে।’
অযথা হর্ন না বাজিয়ে শব্দ দূষণ কমানোর আহ্বান জানান এই তরুণ।
রয়েল বলেন, ‘আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে একটি প্রতিযোগিতা শুরু করি। হর্ন বাজিয়ে আমরা হয়ত মনে করি, সামনের লোকটা সরে গিয়ে আমাকে জায়গা দিতে বাধ্য। কিন্তু সামনের লোকটা সরে কোথায় যাবে? জায়গাতো নেই। তাই শুধু শুধু হর্ন বাজিয়ে নিজেকে প্রতিযোগিতার মধ্যে না ফেলে আসুন শৃঙ্খলিতভাবে গাড়ি চালাই। শব্দদূষণ কমাই।’