বর্ষবরণে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আবারও প্রতিবেদনের জন্য ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল রাজধানীর টিএসসি এলাকায় নারীদের লাঞ্ছনার পর প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্তের পর গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।পরবর্তীতে এই ঘটনায় শাহবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই )আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর পহেলা বৈশাখে নববর্ষের উৎসব উদযাপনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে যৌন নিপীড়নের মামলাটির আসামি খুঁজে না পাওয়ায় দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,বর্ষবরণে যৌন হয়রানির ঘটনা গোপন ও প্রকাশ্য তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চিহ্নিত ৮ যৌন উত্যক্তকারিকে গ্রেফতার করা যায়নি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়,মামলার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ৮-১০ জন দুষ্কৃতকারী কতিপয় নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়। তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণ ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলে তারা মামলার বিস্তারিত বিষয় শুনে মামলাটি অহেতুক মুলতবি না রেখে দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন এবং ঘটনায় জড়িত কোনও আসামির সঠিক নাম ঠিকানা না পাওয়ায় এবং তদন্তের সীমা নির্দিষ্ট হওয়ায় মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়।
২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
টি এইচ/ এপিএইচ/