সার্ককে পুনরুজ্জীবনে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নেপাল

দক্ষিণ এশিয়ায় সার্ক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং এটির পুনরুজ্জীবিত করতে জন্য বাংলাদেশ ও নেপাল কাজ করবে বলে জানিয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।

রবিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (বিআইআইএসএস) আয়োজিত বাংলাদেশ ও নেপাল সম্পর্ক নিয়ে এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নেপাল গত ১০ বছর ধরে সার্কের চেয়ারম্যান হিসেবে আছে। সার্ক সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তে কাজ করে। সেজন্য সবাই সম্মত না হলে শীর্ষ সম্মেলন, মন্ত্রিসভা বা অন্য কোনও ধরনের বৈঠক করা যায় না।’

চেয়ার হিসেবে নেপাল তার কাজ করে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সার্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, নেপাল এবং বাংলাদেশ একই মনোভাব পোষণ করে। এ অঞ্চলে সার্ক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং এটিকে পুনরুজ্জীবনের জন্য আমরা কাজ করবো।’

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যের সুযোগ পূর্ণ ব্যবহার করার জন্য সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতে হবে।’

মোংলা বন্দর ব্যবহার করার জন্য নেপালের সুযোগ থাকলেও দইদেশের বাণিজ্য বেশিরভাগ হয় বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে। সুমদ্র বন্দর কম ব্যবহারের কারণ হচ্ছে—দূরত্ব ও খরচ বেশি বলে তিনি জানান।

রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি আরও জানান, নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করার সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের চাহিদার কারণে জলবিদ্যুৎ সহায়তা উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক। ভারতের গ্রিডের মাধ্যমে নেপালের ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে। এটি দুদেশের জন্য নতুন একটি সম্ভাবনা।