বিচারিক কার্যক্রমের সময় কমিয়ে আনতে সিপিসি সংশোধন 

বিচার কাজ দ্রুত শেষ করতে সিভিল প্রসিডিওর কোর্টে (সিপিসি) কিছু সংশোধন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এগুলো করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এতে বিচার পাওয়ার সময় কমে আসবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন সিভিল প্রসিডিওর কোর্টে কিছু কিছু পরিবর্তন আনার জন্য সুপারিশ করেছিল। তারই আলোকে আমরা সেই ব্রিটিশ সরকারের সময় প্রণীত সিপিসির কিছু কিছু সংশোধন আজ নীতিগতভাবে অনুমোদন করতে পেরেছি। বাংলাদেশে প্রচলিত আছে কারো সঙ্গে শত্রুতা থাকলে ভূমি সংক্রান্ত মামলা জুড়ে দেওয়া। ফলে তিন প্রজন্মে সেই মামলা আর শেষ হবে না। সেই তিন প্রজন্ম যেন না লাগে, এক প্রজন্মেই যেন মামলা শেষ করা যায় সে জন্য সিপিসির কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে, যাতে করে যারা বিচারপ্রার্থী তাদের সময় কম লাগে, অর্থ কম লাগে। আমরা যারা আইনজীবী আছি, অনেক সময় নানা অজুহাতে সময় নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করি, সেটা যেন না হয় সে রকম কয়েকটা সিদ্ধান্ত এসেছে।

তিনি বলেন, আগে একটা মামলার রায় হয়ে যাওয়ার পর আবার জারি মকাদ্দমা করতে হতো মামলার রায় বাস্তবায়নের জন্য। এখন বলা হচ্ছে, যখন রায় দেওয়া হবে সেই রায়ের ভেতরে বাস্তবায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হবে। আইনজীবীদের ক্ষেত্রে সময় নেওয়ার বিষয়ে বলে দেওয়া হয়েছে যে সর্বোচ্চ কয়বার সময় নিতে পারবে। আবার তালিকায় পূর্ণ শুনানির জন্য কয়টি মামলা সর্বোচ্চ নেওয়া যাবে, আংশিক শুনানি হয়ে আছে এ রকম কয়টি সর্বোচ্চ তালিকা করা যাবে সংশোধনে বলা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া আমাদের অনেকাংশেই সেকেলে রয়ে গেছে। বিচারকাজকে আধুনিকায়ন করতে সমন জারির কাজ টেলিফোন, এসএমএস বা অন্য আধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে করা যাবে। এছাড়া কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য ভুয়া মামলা করা হয়, আগে সেটার শাস্তি ছিল ২০ হাজার, এখন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।