বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় বিনিয়োগকারীরা মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব এবং দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক উপকারী বাণিজ্যিক সম্পর্কের অনুঘটক ও সমর্থন করতে সহায়তা করার কাজে জয়ী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। 

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও এক্সিলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা পিটার হাসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন— মেটা, ভিসা, শেভরন, উবার, মেটলাইফ, মাস্টারকার্ড, বোয়িং ও ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা। এক্সিলারেট এনার্জি ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মার্কিন কোম্পানিগুলো একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে সমর্থন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের জন্য তাদের সমর্থনের কথা জানিয়েছে।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গল্পে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা স্থিতিস্থাপকতা, উদ্যোক্তা ও দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। বাণিজ্য ও শুল্ক বহির্ভূত বাধা-বিপত্তি দুর করতে অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগামী মনোভাবকে স্বাগত জানান প্রতিনিধি দলটি।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় বিনিয়োগকারীরা

এর আগে ডিএফসির ডেপুটি সিইও এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধি দলটি বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা এবং আরও মার্কিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা চিহ্নিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন তিনি। 

চলমান শুল্ক আলোচনার কথা উল্লেখ করে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশ এই আলোচনার মাধ্যমে কার্যকরভাবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারে। 

ড. ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর অবদানের জন্য নির্বাহীদের ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিবন্ধকতা দুর করতে এবং ব্যবসা সহজীকরণে অন্তর্বর্তী সরকারের পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।