আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করাই ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

আগামী বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করাই ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতাত্তোর সময়ে এই প্রথম রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে আমরা একটি পথ-পদ্ধতি তৈরি করার সুযোগ পেয়েছি। এদেশের গণমানুষের সংগ্রামের কারণে যা সম্ভব হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবনস্থ এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দিপুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।

আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১৫ জুলাই। এই মেয়াদের মধ্যে কাজ সম্পাদন করতে চায় কমিশন। আশা করা যাচ্ছে, সবার সঙ্গে অব্যাহত আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারবো। এরই অংশ হিসেবে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিতে ঐকমত্য কমিশন ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৯টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে ৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন।

আগামীকাল (৯ এপ্রিল) দুপুরে বিকল্পধারা এবং গণঅধিকার পরিষদ তাদের মতামত পেশ করার কথা রয়েছে।