মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশিদের অন্তর্ভুক্ত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইনভেস্টেমেন্ট সামিটের সাইডলাইনে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতায় সই করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রলায়ের সিনিয়র সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন এবং নাসার পক্ষে সমঝোতায় সই করেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা দেন নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক মিসেস জ্যানেট পেট্রো। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন— বিডা ও বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি, ভারপ্রাপ্ত ইকোনমিক ইউনিট প্রধান জেমস এস গার্ডিনার, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান স্পার্সো’র চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংইয়ের মহাপরিচালক এ.এফ.এম. জাহিদ-উল-ইসলাম, পরিচালক মো. শফিউল আলম, বিডা’র হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রচি প্রমুখ।
নাসার সঙ্গে চুক্তি বিষয়ে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ একটা প্রজন্ম শুধু মহাকাশ গবেষক হবেন, যারা হয়তো মহাকাশে বসবাস করবেন। এই ভবিষ্যৎ আউটলুকের ওপর নির্ভর করে একটা যৌথ উদ্যোগ চালু হয়েছিল, যেখানে অনেকগুলো দেশ অংশগ্রহণ করেছে। আমরা আজকে নাসার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে ৫৪তম দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করলাম। ৫৩টা দেশ ইতোমধ্যে নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কাজ করছে। এই যে সই করে আমরা যুক্ত হলাম, এর লাভ দেখতে হলে আমাদেরকে ২০-২৫ বছর সামনে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের নিয়ে আমরা কথা বলি, তারা কিন্তু গ্লোবাল। প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে যদি জিজ্ঞেস করেন— বাচ্চারা কী হতে চায়, তাহলে ৫০ শতাংশই বলবে যে, তারা নভোচারী হতে চায়। তো বাংলাদেশি নভোচারী আমরা কবে দেখবো। আমার মুল লক্ষ্য যদি হয়— মহাকাশে আমরা বাংলাদেশি নভোচারী পাঠাবো, তাহলে আমাদের এ ধরনের একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। এই প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে আমরা সম্মত হলাম যে, আমরা নাসার সঙ্গে এবং বাকি ৫৩ দেশের সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতা করবো, একসঙ্গে কাজ করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে মহাকাশ গবেষণা এজেন্সি আছে, তারা নাসার সঙ্গে কাজ করবে। ইতোমধ্যে কিছু বিজ্ঞানী কাজ করেন। আমরা এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আজকে থেকে ১০ বছর পরে মহাকাশে বাংলাদেশ একটা অবস্থান নিতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।’