ঐকমত্য কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে আইন মন্ত্রণালয়

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একমত হওয়ার জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয়। এই কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই গেজেটে উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। তবে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে আইন বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের লেজিলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সদস্যরা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন। তবে কমিশনের কোনও সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।