প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, একটা পর্যবেক্ষণ ছিল, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে যতগুলো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, প্রতিটির ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পে গড়ে ৭০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধি ছিল। রাজনৈতিক প্রভাব এবং অযৌক্তিক প্রকল্প ব্যয়ের মাধ্যমে ১৪ থেকে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ অপচয় হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস উইং আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণী’ বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ‘বৈঠকে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে বড় বড় প্রকল্প মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়গুলো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। যেমন-মেট্রোরেলের আরেকটি প্রকল্পে আগের সরকারের যে ব্যয় ধরা হয়েছিল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করে দেখেছে, ৫০০ মিলিয়ন ডলার এখানেই সাশ্রয় করা যায়। এ রকম অনেক প্রকল্পের ক্ষেত্রে… এটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, সরকারের প্রতিটি স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (বিডা) ই-ফাইলিং আছে। কিন্তু সরকারের অনেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় ই-ফাইলিং নাই। সে ক্ষেত্রে ই- ফাইলিংয়ে কোনও সিদ্ধান্ত পাঠানো হলো আরেক জায়গায় পুরো বিষয়টি ম্যানুয়ালি করতে হচ্ছে। এ কারণে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতির হয়ে যায়। এই জায়গাটিতে কীভাবে গতি বাড়ানো যায় এবং কোনও ফাইল যেন ম্যানুয়ালি না নড়ে সেই জায়গায় কত দ্রুত কাজ করা যায়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।’