বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাঈদা শিনিচি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। শুধু অব্যাহত নয়, সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা আছে। বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার জাপান। তার সরকার এ সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে আগ্রহী।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রধান উন্নয়ন অংশীদার জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত।

জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী, যা বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখন প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। জাপান বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি রফতানি গন্তব্যের মধ্যে একটি। বর্তমানে ৩৫০টির বেশি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন জাপানসহ পূর্ব ও পশ্চিমা দেশগুলো এবং সার্ক ও আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা ও বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয় দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এখন সময় এসেছে বাণিজ্য করার।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত জাপানের অর্থায়নে চলমান বড় প্রকল্পগুলো বিশেষ করে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে সহায়তা কামনা করেন।