ফিলিস্তিনের লড়াই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অনুপ্রেরণা: নাহিদ ইসলাম 

‘ফিলিস্তিন বাংলাদেশের আবেগের জায়গা’, মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলাদেশ সবসময় পাশে ছিল। এজন্য আমরা ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর মার্চ ফর প্যালেস্টাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।’

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের ডাক ‌ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমাদের জাতীয় ঐক্যের একটি জায়গা। বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগণের পাশে আছে। তাদের ন্যায্য দাবিকে বাংলাদেশ সবসময় সমর্থন করে আসছে। আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে।’

এসময় ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যখন সব আশা ছেড়ে দিয়েছে, সেই সময় আপনাদের আগমন। সবাই আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের জনগণ আপনাদের উপর আস্থা রাখতে চায়।’

বাংলাদেশের সঙ্গে ফিলিস্তিনের ভৌগলিক দূরত্ব অনেক বেশি হলেও পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের চাইতেও বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনি মানুষের অধিকার নিয়ে বেশি সোচ্চার; এজন্য রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ফিলিস্তিন তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে।

এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করছি। কারণ বর্তমান সরকার সফল হলে ফিলিস্তিনের জনগণ শক্তিশালী হবে। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের স্বপ্ন পূরণে সার্থক হোক।’ রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে ওআইসি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাৎকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড মো. মুশফিকুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।