সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ২০১৮ সালের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তীকালে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তরুণ সমাজের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ— আমাদের নতুন করে পথ দেখিয়েছে। তরুণদের নির্দেশনা নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর)। এ উপলক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় সড়ক দুর্ঘটনাকে কেবল পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলনা না করে মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, সব মৃত্যুই বেদনার। কোনও মৃত্যুই ক্ষতিপূরণ দিয়ে মাপা যায় না। তাই নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী নির্বিশেষে সবার এ সংক্রান্ত আইন ও বিধি বিধান জানা ও মেনে চলা দরকার।
এ সময় নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ও যানজট নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান ফাওজুল কবির খান।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. ইয়াসীন, পরিবহন মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।