নেপাল রাষ্ট্রদূতের কাছে সার্কের খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা

২০১৪ সালের পর দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের কোনও শীর্ষ সম্মেলন হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সংস্থাটির সহযোগিতা কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ‍উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি সাক্ষাৎ করতে গেলে বিষয়টি তোলা হয়।

উল্লেখ্য, সার্কের সদর দফতর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।

বৈঠকে জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত। তিনি সার্ক ও বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার এবং বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ এশীয় দুটি দেশ সার্ক এবং বিমসটেকের সদস্য এবং উভয় দেশের ‘চমৎকার’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে।  দুই দেশের মধ্যে ইতিহাসগত ও জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা এখনও পরিমিত পর্যায়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি নেপালের বিশাল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশ শিগগিরই বাণিজ্য শুরু করতে সক্ষম হবে।

রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি নেপালকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদার প্রস্তাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নেপালের অনেক চিকিৎসক বাংলাদেশে শিক্ষিত হয়েছেন।