জবাবদিহি নিশ্চিতে জনআস্থা তৈরি করবে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আওতাধীন দফতর-সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) সকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর-সংস্থা প্রধানরা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং আওতাধীন ১৩টি দফতর-সংস্থার পক্ষে সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থা প্রধানরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা তৈরি করবে। সুশাসনের ক্ষেত্রেও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অবদান রাখবে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এক ধরনের প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার প্রকাশ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দালিলিক প্রমাণ থাকছে। এ বিষয়গুলো আরও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়গুলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচার করে আমরা বাইরে নিয়ে আসতে চাই। সুশাসনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলো আরও বেশি জনসাধারণকে জানানো দরকার। তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হবে যে সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ প্রক্রিয়াগুলো শুরু করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য সচিব বলেন, জনগণের কাছে সরকারের একটা প্রতিশ্রুতি আছে, সেটি হলো নির্বাচনি ইশতেহার। আগামী পাঁচ বছর দফতর-সংস্থা যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করবে, সেটিতে নিশ্চয়ই এ ইশতেহার মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া এসডিজি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রতিফলন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে থাকবে। সরকারি কর্মসূচিগুলো বাইরে ফোকাস করা, জানান দেওয়া, মানুষের সচেতনতা তৈরি করা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব। বার্ষিক কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে এ দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করতে হবে।