বাজেট অধিবেশন চলবে প্রতিদিন দুই বেলা

বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার জন্য দুই বেলা সংসদ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকালে তিন ঘণ্টা ও সন্ধ্যায় তিন ঘণ্টা করে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে সংসদের বৈঠক বসবে। বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

জানা গেছে, বৈঠকে কলকাতায় ‘খুন’ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বৈঠকে প্রসঙ্গটি তোলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা হবে।

সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। কমিটি সদস্য এবং সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

অন্যদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের, আমির হোসেন আমু, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, ডা. দীপু মনি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন। সভাপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৈঠকে অংশ নেন।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৬ জুন বিকাল ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে। শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিন অধিবেশন হবে না। তবে ২২ জুন ও ২৯ জুন (শনিবার) অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অধিবেশন চলবে।

কোরবানির ঈদের কারণে ১৩ জুন অধিবেশন মূলতবি হয়ে ১৯ জুন পুনরায় শুরু হবে। সংসদের কার্যাবলির পরিমাণ বিবেচনায় স্পিকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় (বাজেট অধিবেশন) অধিবেশনের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। প্রয়োজনে অধিবেশনের সময় ও কার্যদিবস সম্পর্কিত যেকোনও পরিবর্তনের ক্ষমতা স্পিকারকে দেওয়া হয়।

এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৮২টি ও অন্যান্য মন্ত্রীর জন্য এক হাজার ৮৯০টি প্রশ্নসহ এক হাজার ৯৭২টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। বিধি-৭১-এ মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ পাওয়া গেছে ৫৪টি এবং প্রস্তাব (সাধারণ) বিধি-১৪৭ এ নোটিশ পাওয়া যায়নি। বিধি-১৩১ এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সংখ্যা ১২৯। বেসরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। পাঁচটি সরকারি বিলের মধ্যে কমিটিতে পরীক্ষাধীন ৩টি, পাশের অপেক্ষায় ১টি ও সংসদে উত্থাপনের অপেক্ষায় ১টি।