পাচারকৃত টাকা ফেরানো নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে

কর দিয়ে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া সুযোগের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে জাতীয় সংসদে। সোমবার (২০ জুন) সংসদের বৈঠকে সরকারি দলের জিল্লুল হাকিমের পাশাপাশি বিকল্প ধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য দেন। বিপক্ষে বলেছেন জাতীয় পার্টির সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এর আগেও একাধিক সদস্য পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার সুযোগের বিরোধিতা করেন। সংসদের বাইরেও এই ইস্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হচ্ছে।

সোমবারের বৈঠকে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিকল্পধারার সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, নৈতিকতার দোহাই দিয়ে এই প্রস্তাবের বিরোধিতার যুক্তি নেই। অবৈধ অর্থ নিজ দেশে ফিরিয়ে আনতে সব দেশই নানা কৌশল অবলম্বন করে। পাচার করা ছাড়াও দেশের বাইরে অনেকের ব্যবসা করেন, সে টাকাও আছে। তিনি মনে করেন, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে এনে দেশে উন্নয়নের কাজে লাগানো উচিত।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম বলেন, অনেকে এই সুবিধা অনৈতিক বলছেন। কিন্তু যারা বিদেশে টাকা পাচার করে বিদেশি ব্যাংকে রাখেন, তারা যখন বুঝতে পারবেন যে এই টাকা ব্যবহার করা যাবে না, ঘোষণা দিয়ে দেশেও আনা যাবে না, তখন এই সুযোগের ফলে কর দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, টাকা আয় করাটা মাদকাসক্তির মতো নেশা। কিন্তু অনেকে এ টাকা ভোগ করতে পারেন না।

জিল্লুল বলেন, কিছু অর্থনীতিবিদ ও বিএনপি এই প্রস্তাবকে অনৈতিক বলছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার পরিবার বিদেশে টাকা পাচার করেছে। সে টাকা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সব টাকা ফিরিয়ে আনা যায়নি।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী অবশ্য প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব অনৈতিক। এটি প্রস্তাবিত বাজেটের দুর্বল দিক। এই প্রস্তাব দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও অর্থপাচার বিরোধী আইনের পরিপন্থী।