ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করা আমার বড় ব্যর্থতা: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করা ছিল আমার বড় ব্যর্থতা। তাদের বিশ্বাস করাটাই ছিল বড় ভুল। তিনি বলেন, ‘ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের দেওয়া কথা রাখেনি। তাদের বিশ্বাস করা আমার ভুল হয়েছে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমরা শিখেছি মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়।’

সোমবার (৯ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের ব্যর্থতা। আমি এই ব্যর্থতা স্বীকার করছি। কারণ, (ব্যবসায়ীদের) বলেছিলাম, রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা ঈদের আগে এসে সাত দিন সেই কথা রাখেননি।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে অনেকে তেল ধরে রাখলো। কারচুপিটা এখানে হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যেন এগুলো না হয়, সেটি দেখতে হবে। আমার মনে হচ্ছে, রমজানে তেলের দাম না বাড়ানোর অনুরোধ ঠিক হয়নি। ঈদের আগে তাদের যদি দাম বৃদ্ধি করে দিতাম, তাহলে নিশ্চয়ই এমন হতো না। আমাদের সব অর্গানাইজেশনকে বলেছি, যে দাম নির্ধারিত আছে, সেটি যাতে ঠিক রাখা হয়।’

টিপু মুনশি জানান, ব্যবসায়ীরা অনেক সুযোগ নিয়েছে। আমরা বিষয়টি মনিটর করবো। তবে ব্যবসায়ীদের চাপ দিতে চাই না। মানুষের ক্রাইসিস হলে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। ব্যবসায়ীরা মাঝে অনেকে সুযোগ নিয়েছেন। কারণ, তারা জানেন ঈদের পর দাম বাড়বে। সেজন্য তারা মজুত করে রেখেছিলেন।’ রিটেইলার অপরাধ করলে সংগঠনেরও ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সত্য যতই কঠিন হোক, তা মেনে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধির বাস্তবতা মেনে নিন। কোথায় কোথায় কারসাজি হয়েছে, কোথায় কোথায় সমস্যা হয়েছে, সেসব বিষয় ইতোমধ্যে চিহ্নিত। চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে।’ প্রয়োজনে র‌্যাবের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ বলছে না গ্লোবাল মার্কেটে তেলের দাম কতটা বেড়েছে। দাম বেড়েছে সেটা তো সত্য, সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে সেটাও সত্য। কিন্তু কারণটা জানালে মানুষ বুঝতে পারে। তেলের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ বাইরের প্রতি ডিপেন্ডেড থাকতে হয়।’