বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন

কর্মবিরতি প্রত্যাহার নয়, স্থগিত

শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে ক্লাসরুম ফাঁকা

 

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রেড সমস্যা নিরসন ও সিলেকসন গ্রেড বহালের দাবিতে চলা কর্মবিরতি ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। কর্মবিরতির নবম দিনের মাথায় এ ঘোষণা দেওয়া হল। যার ফলে বুধবার (২০ জানুয়ারি) থেকে আবার ক্ষাস ও পরীক্ষা শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে শিক্ষক নেতাদের মধ্যে এক ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের মহসচিব অধ্যাপক মাকসুদ কামাল।

মাকসুদ কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে আজ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওইদিন (৩ ফেব্রুয়ারি) আমারা আবার পর্যবেক্ষণমূলক বৈঠকে বসবো। এরমধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয় তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে।’

মাকসুদ কামাল আরও বলেন, যদি ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পেশকৃত প্যাকেজ প্রস্তাব মেনে নেওয়া না হয় কিংবা আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব হয় তাহলে পর্যবেক্ষণমূলক বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া দাবি মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কিংবা আমলাতান্ত্রিক অপকৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয় তাহলে ওইসব আমলাদের বিরুদ্ধেও করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ড. কামাল বলেন, স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়ে, সাধারণ সভা করে কোন প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের এই কর্মবিরতি স্থগিত করছি তা অবহিত করেন।

এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা। কর্মবিরতির নবম দিনের মাথায় এ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হলো।

/এসআর/এনএস/এফএস/