মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. আবদুল্লাহ বলেন, আমরা যারা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনোলজিস্ট আছি তারা হয়তো দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস। কারণ, আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। পৃথিবীর যত ওষুধ আছে, আমাদের দেশে এখন মোটামুটি সবই পাওয়া যায়। হাসপাতাল অনেকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তবে এর কারণ রোগী নাই। আমি অবশ্য অনুরোধ করেছি সেগুলো প্রস্তুত রাখতে। কারণ, আল্লাহ না করুক, আগের মতো অবস্থা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল খোলার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে গাছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন করোনা নেই। নিম্ন আয়ের মানুষ মনে করে এটি বড়লোকের রোগ। এসব বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা, আর এ কারণে মানুষের মধ্যে গাছাড়া ভাব রয়ে গেছে। সেজন্য এখন আবার সংক্রমণ বাড়ছে। সামনে শীত, সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। কারণ হলো– শীতে কিন্তু করোনা শুরু হয়, তখন উহানে প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল। বিভিন্ন দেশে এখন কিন্তু শীত, তার ওপর আবার লকডাউন চলছে। আমাদের সচেতন থাকতেই হবে, জনগণকে সচেতন করে তুলতেই হবে।
ডা. আবদুল্লাহ সরকারের নির্দেশনা ও উদ্যোগকে সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার একটি উদ্যোগ নিয়েছে– ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’। দোকান মালিক সমিতি বলেছে– মাস্ক না থাকলে দোকানে ঢুকতেই দিবে না। তবে এসব যেন কাগজে-কলমে না থাকে, বাস্তবায়ন যেন থাকে। সর্বস্তরের জনগণকে কিন্তু সচেতন করে তুলতে হবে। বাস্তবায়ন আসলে জনপ্রতিনিধি ছাড়া হয় না। সবাই মিলে জনগণকে সচেতন করে তুলে দ্বিতীয় ঢেউ আমরা ঠেকাতে পারবো, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারবো। কারণ, সংক্রমণ বাড়লে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো আবু ইউসুফ, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পরিষদের সভাপতি গোলাম সারোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান প্রমুখ।