সেখানে বলা হয়, ১৯ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬০টি এবং ইউনিয়ন এক হাজার ২৬টি। পানিবন্দি পরিবার সাত লাখ ৯২ হাজার ৭৪৮টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ৪৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৭ জন। বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার তিনটি। সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা ২৩ হাজার ৪১৫ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৬২ হাজার ৬৩২টি। বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ৮৬৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে, মেডিক্যাল টিম কাজ করছে ২৪১টি।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বন্যাকবলিত ৩৩ জেলার জন্য নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ৯৫ লাখ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে এক কোটি ছয় লাখ টাকা। গোখাদ্য কেনার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ দুই কোটি ২৬ লাখ টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৮৪২ প্যাকেট।
এছাড়া ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪০০ বান্ডিল এবং বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।