বৈঠক আহ্বান সংক্রান্ত সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বৈঠকে করোনা পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের কী ধরণের সেবা দিয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এছাড়া এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কোন কোন দেশকে সাহায্য করেছে এবং কী ধরণের সাহায্য পেয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সংসদীয় কমিটির কোনও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি কয়েকটি বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও সেগুলো স্থগিত করা হয়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা বাতিল করা হয়। পরে অবশ্য সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে গত ১৮ এপ্রিল এক ঘণ্টার জন্য সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়। ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম ওই অধিবেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। যা কয়েক দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে।
তিনি জানান, সংসদীয় কমিটির সদস্যদের তাদের ব্যক্তিগত সহকারী সঙ্গে আনতে মানা করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের শুধু আবশ্যক কর্মকর্তাদের আসতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি জাপান ও রুমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তারা কীভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করবেন তার প্রস্তুতি সম্পর্কে কমিটিকে জানাতে বলা হয়েছে।